বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।
তবে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের সংখ্যা কত- তা জানা নেই বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, কোভিড এবং নন কোভিড হাসপাতালের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
পরে আদালত এ সংক্রান্ত রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
পরে অমিত দাসগুপ্ত বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি, কোভিড এবং নন কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা ও নাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে। বর্তমানে ১২ হাজার ৫৪৩টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে এবং এগুলোর নবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কোনো কোনোটির নবায়ন এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বেসরাকারি লাইসেন্সধারী হাসপাতালগুলোর তালিকা সরকারের কাছে আছে।’
যেগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই, সেগুলোর তালিকা নেই। সেগুলোর বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো অবহেলার ঘটনা ঘটলে, তার প্রতিকার প্রার্থনা করে স্বাস্থ্য বাতায়নে অভিযোগ দায়ের করা যায়। জনগণ যে কোনো সময় অভিযোগটি দায়ের করতে পারে। এ রিপোর্ট উপস্থাপনের শুনানি হয়েছে। এরপর আদালত এটিকে (রিট) আউট অব লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন) করেছেন, বলেন তিনি।
এর আগে দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে কয়টির লাইসেন্স আছে এ বিষয়ে জানতে চায় হাইকোর্ট। গত ২৬ জুলাই দেশের সব বৈধ ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের তালিকা প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের পক্ষে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম এ রিট দাখিল করেন। স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়।
এর আগে ১৯ জুলাই এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের পক্ষে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম এ সংক্রান্ত নোটিশ পাঠান।